খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রোববার থেকে আমন সংগ্রহ শুরু : খাদ্য উপদেষ্টা
  আইন করে কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিল : হাইকোর্টের রায়

সিপিবির পথসভায় বাধা, ব্যানার নিয়ে টানাহেচড়া

গেজেট ডেস্ক

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) এক পথসভায় বাধা দেওয়া হয়েছে। বাধা দানকারী ব্যক্তিরা নিজেদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী পরিচয় দিয়েছেন বলে সিপিবির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তেঁতুলিয়া উপজেলা শহরের তেঁতুলতলায় ‘শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতন্ত্র জাগরণ যাত্রা’ শীর্ষক পথসভায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, হযরত আলী নামে এক যুবক নিজেকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন যুবকসহ সিপিবির ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে সভায় বক্তব্যরত কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্সের মাইক্রোফোন কেড়ে নিতে শুরু করেন। তারা সিপিবি নেতাদের ‘ফ্যাসিস্টদের দোসর’ আখ্যা দিয়ে পথসভায় বাধা দেন।

এদিকে ঘটনার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসানাত আব্দুল্লাহকে অভিযোগ দিয়েছেন সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স। তবে তেতুঁলিয়ায় তাদের কোনো কমিটি নেই বলে জানানো হয়। ঘটনার পরে পথসভা শেষ করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান সিপিবির নেতারা।

পরে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সামাজিক যোগযোগমাধ্যেম ফেসবুকে তার আইডি থেকে এ নিয়ে একটি পোস্ট দেন। তিনি লিখেন, ‘১২ নভেম্বর ২০২৪। তেতুঁলিয়া পঞ্চগড়ের তেতুঁলতলায় পথসভায় বক্তব্য শেষ করতে পারলাম না। পথসভা শেষ করতে দেওয়া হলো না। ওরা কারা? প্রশাসনের কোনো ভূমিকা নেই। সারাদিনের অন্যান্য কর্মসূচি চলবে। ধৈর্যেরও সীমা আছে!’

সিপিবির পঞ্চগড় জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এমন সময় কয়েকজন ছেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বলেন, আমরা নাকি আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলাম। এতদিন কই ছিলাম। পরে তারা প্রিন্স ভাইয়ের হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেয়। ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে আমাদের অনুষ্ঠানে বাধা দেয়, চেয়ার ভাঙচুর করেন। আমরা তাদের বারবার বোঝাবার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু তারা কোনো কথাই শোনেননি। পরে পুলিশকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, কয়েকজন ছেলে আমাদের পথসভায় এসে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে আমার হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নিতে শুরু করে। একপর্যায়ে তারা আমাদের লোকজনকে শাসিয়ে বলতে শুরু করেন, আপনারা এখানে কি করছেন? তখন আমি তাদের বলি আমার সাথে কথা বলো। তারা উচ্চস্বরে চিৎকার চেঁচামেচি করে ব্যানার কেড়ে নেয়। বলার পর পুলিশের ওসি উপস্থিত থাকলেও তার ভূমিকা রহস্যজনক মনে হয়েছে। পরে আমরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে আসি। আমরা এটাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো।

অভিযুক্ত হযরত আলী বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের হাতে মানুষ নির্যাতিত। তাদের কিছু দোসরদের নিয়ে তারা পথসভা করছিল। স্থানীয়রা আওয়ামী লীগের লোকজন দেখে তাদের সঙ্গে কয়েকজনের তর্ক হয়। পরে আমি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি, সমাধান করি। আমি কারও ব্যানার ছিনিয়ে নিইনি, পথসভায় বাধাও দেইনি।

তেতুঁলিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত কবির বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। পথসভা শেষের দিকে কয়েকজন ব্যক্তি সিপিবি নেতাদের লক্ষ্য করে বলেন, বিগত দিনে তোমরা আওয়ামী লীগের দোসর ছিলে, দালালি করেছো, আন্দোলনের সময় ছিলে না, এতদিন পরে কোথা থেকে বের হয়েছো? পরে এনিয়ে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়। তবে কে বা কারা বাধা দিয়েছে তাদের পরিচয় কেউ বলতে পারছে না। এ নিয়ে সিপিবির পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাইনি।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!